✍️ স্টাফ রিপোর্টার (দৈনিক চিৎলা টিভি): আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের দাবি সরকারের কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। তবে দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনা করে সরকারকে সীমিত পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি গত ১৫ বছরের অস্থিরতা, দুর্নীতি ও অপচয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও এখনই বড় ধরনের অর্থনৈতিক বাড়তি বোঝা নেওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছায়নি।”
তিনি জানান, বাস্তবতার নিরিখে সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের বাড়িভাতা ধাপে ধাপে বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে মূল বেতনের সাড়ে ৭ শতাংশ হারে বাড়িভাতা বৃদ্ধি করা হবে। পরবর্তী ধাপে, আগামী বছরের জুলাই থেকে আরও সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি কার্যকর হবে।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে তিনি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করেছেন।
তিনি বলেন, “সবাই মিলে চেষ্টা করছি যাতে শিক্ষক সমাজের মর্যাদা ও ন্যায্য অধিকার রক্ষা হয়। শিক্ষা উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।”
অধ্যাপক ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, শিক্ষকরা তাদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করে আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসবেন এবং নতুন উদ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে অংশ নেবেন।
শেষে তিনি বলেন, “শিক্ষকরা আমাদের জাতির আলোকবর্তিকা। তাদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতা দেওয়া সরকার এবং সমাজ—দু’পক্ষেরই দায়িত্ব।”
প্রযুক্তি সহায়তায়: VantageSoftGlobal
Leave a Reply