চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ॥
চুয়াডাঙ্গা জেলায় পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন হাজারো কৃষক। কিন্তু সম্প্রতি বাজারে পানপাতার দাম না থাকায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। প্রতি পানে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেলেও বিক্রয়মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না বললেই চলে।
চাষিরা জানান, একসময় চুয়াডাঙ্গার পান স্থানীয় বাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো। কিন্তু বর্তমানে চাহিদা কমে যাওয়া, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং পাইকারদের অনীহার কারণে পান বিক্রি করে খরচও উঠছে না। প্রতি বিঘা জমিতে ১,২০০০০ থেকে ১,৪০০০০ হাজার টাকা খরচ হলেও এখন সেই জমির পান বিক্রি করে মিলছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ফলে চাষিরা ঋণের জালে জর্জরিত হয়ে পড়ছেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলার এক পানচাষি বলেন, “আগে পানের ভালো দাম পেতাম, এখন বাজারে বিক্রি করলেও লোকসান গুনতে হয়। একদিকে সার, কীটনাশক আর শ্রমিকের দাম বেড়েছে, অন্যদিকে পান বিক্রির দাম কমে গেছে।”
চাষিরা অভিযোগ করেন, সরকারের পক্ষ থেকে পানচাষে কোনো সহায়তা নেই। প্রয়োজনীয় সংরক্ষণাগার না থাকায় পান পচে যায়, ফলে লোকসানের পরিমাণ আরও বাড়ে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, পানচাষের টেকসই উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে চাষিদের তাৎক্ষণিক সহায়তা ছাড়া এই খাত পুনরুদ্ধার করা কঠিন হবে।
চাষিরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন— পানের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ, সংরক্ষণাগার স্থাপন ও সহজ ঋণ সুবিধা প্রদান করা হোক। না হলে চুয়াডাঙ্গায় শত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী পানচাষ এক সময় হারিয়ে যেতে পারে।
প্রযুক্তি সহায়তায়: VantageSoftGlobal
Leave a Reply